রেজাউল করিম রেজা :
ব্রাজিলের মাঠেই নেইমারের ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে মেসির আর্জেন্টিনা, তাতে মেসি-নেইমারকেও ছাপিয়ে উজ্জ্বল ডি মারিয়া। খেলার ২১ মিনিটে তার করা গোলেই শিরোপার দেখা মিলেছে।

তবে ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন উইঙ্গার বলছেন, এমনটা যে হবে, সেটা নাকি ম্যাচের আগেই বলেছিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি!

ফাইনালের পর তাই ডি মারিয়ার অনুভূতি, ‘কত স্বপ্ন দেখেছি এমন একটা শিরোপা নিয়ে! এই শিরোপাটার জন্য কত লড়াই-ই না করেছি! আজকের গোলের সময়ে রদ্রিগো নিখুঁত পাস দিয়েছে আমাকে। আমি সেটাকে অলিম্পিকে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের মতো করে জালে জড়িয়েছি।’

ম্যাচে নামার আগে দুজনের কথা হয়েছে? এমন প্রশ্নে ডি মারিয়ার উত্তর, ‘যে আলাপ হয়েছে সেটা আমি কখনও ভুলব না। মেসি আমাকে বলেছে- তোমাকে ধন্যবাদ, আমি ওকে বলেছি- না, তোমাকে ধন্যবাদ। ও আমাকে বলেছিল- এটা তোমার ফাইনাল হবে। যে ফাইনালগুলোতে তুমি খেলতে পারোনি সেটার জবাব দিতে হবে।’

এর আগে চোটের কারণে বেশ কয়েকটি ফাইনাল ম্যাচ খেলতে পারেননি ডি মারিয়া। এই মারাকানাতেই ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি এখনও আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মনে তরতাজা। জার্মানির বিপক্ষে সেদিন ১-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা, টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ খেলা ডি মারিয়ার সেদিন ফাইনাল খেলা হয়নি। মাঝে ২০১৫ কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলেছেন, কিন্তু চোট পেয়ে ২৯ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। সেবার চিলির কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে ফাইনালে আবার ডি মারিয়াকে চোট খেলতে দেয়নি এর পরের বছর, ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে। সেবারও হেরেছে আর্জেন্টিনা। অবশেষে এসে ডি মারিয়ার দুঃখ ঘুচল। ফাইনালে খেলেছেন, গোল করে দলকেও জিতিয়েছেন।

এই জয়টা তার স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা ও চলার পথে সমর্থন জানানো সবাইকে উৎসর্গ করেছেন ডি মারিয়া। পরে বলেছেন, ‘শিগগিরই বিশ্বকাপ আসছে।’ এর মাধ্যমে নিজেদের সেরাটা বিশ্বকাপেও ধরে রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।